সেরা বাংলা চটি গল্প ২০২৫

বাংলা চটি গল্প অনেকেই পছন্দ করেন। কেউ এই চটি গল্প সময় কাটানোর জন্য পরে আবার কেউ আনন্দ ও উদ্দিপনার জন্য পরে। যে যেই কারনেই পরুন না কেন এই পোস্ট আপদের আনন্দ দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এই পোস্টে যে সকল চটি গল্প দেওয়া হয়েছে আশাকরি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ভালো লাগবে।


বাংলা চটি গল্প প্রথম গল্প হলো:


১) গল্পের নাম: “তুই আছিস বলেই...”


বাংলা চটি গল্প

অধ্যায় ১: ফিরে দেখা


রাত ৯টা। কলেজ ফেস্ট শেষ হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। সারা ক্যাম্পাসে সুনসান নিস্তব্ধতা। সবাই চলে গেছে, শুধু মেহুল দাঁড়িয়ে আছে অডিটোরিয়ামের বাইরের কর্নারে। সে জানে, রিয়া আসবেই। ওরা অনেকদিন পর আজ একসঙ্গে দেখা করবে, গোপনে, পুরনো সেই বেঞ্চটার পাশে।


হঠাৎ নরম পায়ের শব্দ। চোখ তুলে দেখে, রিয়া। খোলা চুল, একটা সাদা কুর্তি, আর মুখে সেই পুরনো হাসি—যেটা মেহুলকে আজও কাঁপিয়ে দেয়।


"তোকে আবার দেখতে পারব ভেবেছিলাম না…" রিয়া বলল ধীরে।


মেহুল একটু হাসল। “তুই তো ভুলে গিয়েছিলি আমায়।”


“ভুলিনি রে… শুধু লুকিয়ে রেখেছিলাম নিজের মধ্যেই…”


দুজনে চুপচাপ বসে পড়ল বেঞ্চটায়। সময় যেন থেমে গেল।


অধ্যায় ২: কাছে আসার গল্প


"মনে আছে, শেষবার তোর হাত ধরেছিলাম ওই ফেস্টের রাতেই?" মেহুল বলল।


রিয়া মাথা নাড়ল। “তুই তো বলেছিলি—এই হাত কখনো ছাড়বি না। কিন্তু তুই ছাড়লি…”


মেহুল তার হাতটা ধীরে ধীরে রিয়ার হাতে রাখল। “ভুল ছিল… কিন্তু তুই যদি বলিস, আবার শুরু করতে পারি?”


রিয়ার চোখে জল চলে এল। “তুই জানিস না, তোকে ছাড়া আমি কেউ না রে।”


মেহুল ধীরে ধীরে রিয়ার গাল ছুঁয়ে দিল। রিয়ার চোখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরল, যেন অনেক বছরের শূন্যতা ভরে দিতে চায়।


সেই রাতে, ছাদে দাঁড়িয়ে তারা একসাথে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। ঠাণ্ডা বাতাসে একে অপরের শরীর গায়ে লাগছিল। আর তাদের নিঃশ্বাসের গতি বলে দিচ্ছিল, ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে—গভীর, রক্তমাখা অনুভবের মতো।


অধ্যায় ৩: প্রেমের প্রথম রাত


রিয়া বলল, “আজ যদি এই রাতটা কেবল আমাদের হত… কেউ না থাকত, কেবল তুই আর আমি…”


মেহুল আর একটুও দেরি করল না। তার কাঁধে মাথা রাখল রিয়া। ধীরে ধীরে মেহুল তার কপালে, চোখে, গালে চুমু দিতে লাগল। রিয়া চোখ বন্ধ করে দিল। ঠোঁটে ঠোঁট লাগতেই যেন হৃদয়ের ভিতর আগুন লেগে গেল।


তারা সেই রাতে একে অপরকে স্পর্শ করল—ভালোবাসা, আবেগ আর আস্থার সঙ্গে। কোনো লজ্জা ছিল না, ছিল শুধু দুজনের হৃদয়ের মাঝে তৈরি হওয়া গভীর ভালোবাসা। সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তারা একে অপরকে অনুভব করল নতুনভাবে, নতুন করে ভালোবাসতে শিখল।


শেষ অধ্যায়: নতুন সকাল


ভোরের আলো এসে জানালায় পড়েছে। রিয়া এখনো ঘুমিয়ে। মেহুল তাকিয়ে আছে ওর দিকে—যেন এই মেয়েটাই তার পৃথিবী।


সে ভাবল, “তুই আছিস বলেই আমি এখনো বাঁচি… তোকে আবার হারাব না। এবার আমায় ধরে রাখিস, ভালোবেসে রাখিস… চিরদিন।”


চল, তাহলে এখন পুরো বড়ো রোমান্টিক গল্প দিই—ঘন আবেগ, প্রেমিক-প্রেমিকার সাহসী কিন্তু রুচিশীল ঘনিষ্ঠতা, হারিয়ে ফেলা আর ফিরে পাওয়ার স্পর্শে ভরা এক সুন্দর ভালোবাসার কাহিনি।



২) বাংলা চটি গল্পের নাম: “বৃষ্টির রাতে তুই”


বাংলা চটি গল্প

অধ্যায় ১: অচেনা শহর, চেনা মুখ


শহরটা নতুন নয়, তবু প্রতিবারই একটু অচেনা লাগে আদিত্যর। এই শহরেই ছিল তার কলেজজীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিনগুলো। আর এখানে ছিল রুবা—তার প্রথম, একমাত্র ভালোবাসা।


সে এখন কর্পোরেট জব করে মুম্বাইয়ে। শহরে এসেছিল একটি কনফারেন্সে। হোটেল বুক করা ছিল আগেই। বিকেলে ঝড় উঠল, আর রাত নেমে এল বৃষ্টি নিয়ে। হঠাৎ করেই ফোনে মেসেজ:  

"আদিত্য, তুমি এই হোটেলেই?"  

পাঠিয়েছিল রুবা।


সারা শরীরে এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল। শেষ দেখা তিন বছর আগে, তারপর হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।


"তুমি কই?" — আদিত্যর কণ্ঠ কাঁপছিল।  

"৬০৪ নাম্বার রুমে… আসবে?"


অধ্যায় ২: বন্ধ দরজার ওপারে


আদিত্য ধীরে ধীরে রুম ৬০৪-এর দরজায় পৌঁছাল। কড়া নাড়তেই দরজা খুলে গেল। রুবা দাঁড়িয়ে ছিল, খোলা চুল, হালকা মেকআপ, একটা পিচ রঙের নাইটি পরে। চোখেমুখে ক্লান্তি, কিন্তু একরাশ অনুভব।


"তুমি আসবে ভাবিনি…" — বলল রুবা।


"তোমার ডাক আমি অবহেলা করব? আজও পারিনি তোকে ভুলতে রুবা।"


রুবা চুপ করে থাকল। তার চোখে জল চিকচিক করছিল।


"আজ আমি একা এখানে। আর আজ তুমিও আছো… তাই মনে হল… একটু গল্প করা যাক… শুধু তুই আর আমি।" — রুবা বলল নিচু গলায়।


আদিত্য এগিয়ে গেল ধীরে। ওদের মাঝে এখন আর কোনও দূরত্ব নেই। ছিল কেবল অতীতের অভিমান আর বর্তমানের গভীর আকর্ষণ।


অধ্যায় ৩: এক বৃষ্টিভেজা রাতের শরীর আর মন


বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামছে। রুমে হালকা আলো। রুবা বিছানায় বসে, চা হাতে। আদিত্য তার পাশে।


“তুমি জানো, আমি বিয়েটা করিনি,” হঠাৎ বলল রুবা।  

আদিত্য অবাক।  

“তুমি?”  

“তোমার পর কাউকে আর মনের মতো লাগেনি… শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয়, আমি এমন একজন চাইছিলাম, যার চোখে আমার সমস্তটা প্রতিফলিত হয়… যেমনটা তুমি একদিন করে যেতে…”


আদিত্য চুপ। ধীরে ধীরে ওর আঙুল রুবার আঙুলের ফাঁকে চলে গেল।


রুবা তার মুখটা আদিত্যর কাঁধে রাখল। “তুই এখনো আমার গায়ের গন্ধ চিনিস?” — ফিসফিস করল।


আদিত্য ওর ঠোঁট ছুঁয়ে দিল।  

“তোর গন্ধ, তোর চুলের ছোঁয়া, তোর নরম গলা… আমি কিছুই ভুলিনি রুবা…”


রুবা এবার ধীরে আদিত্যর গলা জড়িয়ে ধরল। চাদরটা ওর গা থেকে খানিকটা সরে গেল। আলতোভাবে আদিত্যর ঠোঁট ওর ঘাড়ে, তারপর গলায়… এবং ধীরে ধীরে… দুজন একে অপরকে হারিয়ে ফেলল এক গভীর ঘনিষ্ঠতায়।


বৃষ্টি তখন বাইরে কাঁদছে, আর ভিতরে তারা দুজন—আবার একে অপরকে নতুন করে খুঁজে নিচ্ছে।


অধ্যায় ৪: সকালটা আমাদের ছিল না…


ভোর হয়ে গেছে। জানালার ফাঁক দিয়ে আলো পড়ছে বিছানায়।  

রুবা এখনো ঘুমিয়ে, ওর চুল ছড়িয়ে আছে আদিত্যর বুকে।


আদিত্য জানে, সকাল এলেই আবার বাস্তব ফিরে আসবে। হয়তো তারা আবার আলাদা হয়ে যাবে।


কিন্তু গত রাতটা তাদের ছিল। শরীর দিয়ে, মন দিয়ে, চোখে চোখ রেখে… ওরা অনুভব করেছে—ভালোবাসা মরেনি।


আদিত্য ফিসফিস করে বলল,  

“রুবা, যদি কোনোদিন তুই আবার ডাকিস, আমি আসব… এইভাবেই…”


রুবা চোখ খুলল। একটুও না কাঁপিয়ে বলল,  

“এইবার আর যেতে দিব না… এবার বাকি জীবনটা তোর গায়ের পাশে কাটাতে চাই…”


শেষ অধ্যায়: বৃষ্টির দিনে তুই, রোজ আমার পাশে…


কয়েক মাস পর, ওরা একসাথে থাকতে শুরু করে। শহরটা আগের মতোই, কিন্তু এখন রিকশার পাশে বসে থাকা রুবার হাতে আদিত্যর হাত…  

একই ছাদে বৃষ্টি পড়ে, আর তাদের হৃদয়ের ভেতরও ভালোবাসার ফোঁটা পড়ে অনবরত।


চল তাহলে, এবার দিই আরেকটা নতুন বড়ো প্রেমের গল্প — একটু ভিন্ন আবেগে, একটু বাস্তব আর একটু রোমান্টিক ঘনিষ্ঠতায় ভরা। এবার গল্পটা একটু ধীর লয়ে এগোবে, যাতে প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করা যায়।



৩) বাংলা চটি গল্পের নাম: “তুই ফিরলি বলে…”


বাংলা চটি গল্প

অধ্যায় ১: ট্রেনের জানালা ও প্রথম দেখা


বৃষ্টির সন্ধ্যা, শিয়ালদহ স্টেশন। প্ল্যাটফর্মে ভিড়, কুয়াশার মত মুছে থাকা সব মুখের ভিড়ে তিয়াশা হঠাৎ দেখে—সেই চেনা মুখটা।


পাঁচ বছর পর তমালকে দেখে ওর ভিতরটা হু হু করে ওঠে। ছোটবেলার বন্ধু, কলেজে প্রথম প্রেম, আর হঠাৎ একদিন বলা ছাড়া হারিয়ে যাওয়া সেই তমাল আজ সামনে।


তমালও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,  

“তুই তিয়াশা?”  

তিয়াশার গলা কেঁপে যায়,  

“তুই ফিরলি?”


অধ্যায় ২: ফিরে দেখা আর ফিরে চাওয়া।


পাশের বগিতে দুজনেই বসে। রাত ১১টা, ট্রেন ছুটছে, আর স্মৃতি ফিরে আসছে দৌড়ে।


তমাল বলে,  

“সেইদিন তোকে কিছু না বলেই চলে গেছিলাম, জানিস… আমার বাবার হঠাৎ পোস্টিং হয়, আর ফোনও হারিয়ে যায়। তোকে না বলে চলে যাওয়া ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।”


তিয়াশা একটু চুপ থেকে বলে,  

“আমি তো শুধু একটাই প্রশ্ন রেখেছিলাম — তুই কেন গেলি? উত্তর পাইনি…”


তমাল ওর হাত ধরে ফেলে।  

“আজ যদি বলি, আবার তোকে চাই… আবার হাত ধরতে চাই… বিশ্বাস করবি?”


তিয়াশার চোখে জল আসে। ট্রেনের জানালার বাইরে ঝাপসা আলো, আর ভিতরে এক পুরনো ভালোবাসা ধীরে ধীরে জেগে ওঠে।


অধ্যায় ৩: হোটেল রুমের কুয়াশা।


অফিসে যেতে হবে বলে ট্রেন থেকে নামার পর দুজনই চলে যায় একটা হোটেলে বিশ্রামের জন্য।  

“একটা ঘর নিই, দুজনই ক্লান্ত… সকালে অফিস,” বলে তিয়াশা।


রুমটা ছোট, কিন্তু মেঘলা। ঠাণ্ডা হাওয়ায় ওদের শরীর কাঁপছে, আর কাঁপছে ভিতরের আবেগ।


তমাল বলল,  

“তোর গায়ের গন্ধ এখনো ঠিক আগের মতোই… নরম, শান্ত আর উষ্ণ।”


তিয়াশা ধীরে তমালের কাঁধে মাথা রাখল।  

“তুই হাত ধরলে আমি এখনো কেঁপে উঠি… জানিস?”  

তমাল ধীরে ওর মুখে হাত রাখল,  

“তুই এখনো আমার পৃথিবী…”


চাদরটা ওদের দুই শরীরকে জড়িয়ে ধরে। ঠোঁট ঠোঁটে ছোঁয়, আর দুই বছর আগের শূন্যতা মুছে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। ওদের প্রেম এক নতুন রূপ নেয়—আবেগের গভীরে, ছোঁয়ার উষ্ণতায়, চোখের ভাষায়।


অধ্যায় ৪: ভোরের পর প্রতিজ্ঞা।


ভোরবেলা, হোটেল রুমের জানালা দিয়ে সূর্য ঢুকছে। তিয়াশা এখনো ঘুমিয়ে। তমাল বসে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দেয়।


“তুই না থাকলে এই শহরটা আজও ফাঁকা লাগত,” বলে মনে মনে।


তিয়াশা হঠাৎ চোখ মেলে বলে,  

“এবার হারাতে দিব না… যেখানেই যাস, আমায় নিয়ে যাবি।”


তমাল তার ঠোঁটে নরম করে একটা চুমু দিয়ে বলে,  

“তুই ফিরলি বলেই আমার জীবনটা আবার জীবনের মতো লাগছে…”


শেষ অধ্যায়: শহরটা এখন দু’জনার।


মাস তিনেক পর তিয়াশা আর তমাল এখন একসঙ্গে থাকে। সপ্তাহের দিনগুলো অফিস, কিন্তু প্রতি শুক্রবার রাতে তারা একে অপরকে খুঁজে পায়—চুপচাপ এক বিছানায়, এক চাদরে, এক ঘামে, আর এক ভালোবাসায়।


তারা জানে, সব গল্প হয় না কবিতার মতো। কিন্তু তদের গল্পটা, বৃষ্টিভেজা একটা শহরে, জানালার পাশে বসে দুটো কাপ চায়ের মতো… চুপচাপ, উষ্ণ আর গভীর।


শেষ কথা:


আমাদের বাংলা চটি গল্প গুলো আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান। আরো নতুন বাংলা চটি গল্প পেতে পেজে প্রতিদিন ভিজিট করুন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org